আজকে এমন এক বিল্ডিং সম্পর্কে কথা বলবো যা বিশ্বের মধ্যে এক অন্যরকম চমক। মালয়েশিয়ার এক আধুনিক আকাশচুম্বী বিল্ডিং। যা মালয়েশিয়াকে নিয়ে গেছে আধুনিকতার এক অন্যন্য দৃষ্টান্তে। মালয়েশিয়ার মানুষ এর জীবন যাত্রার মান কে উন্নত করেছে। বিশ্বের মধ্যে অনেক উচু বিল্ডিং আছে কিন্তু এই বিল্ডিং এর ইতিহাস থেকে শুরু করে এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা অন্যরকম। এই পোস্ট এর মাধ্যমে ‘মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স’ সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক টুইন টাওয়ার্স এর ভেতরে কি কি আছে।
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স এর কিছু তথ্যঃ
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স অনেক পুড়নো একটি বিল্ডিং। এই বিল্ডিং এর নিচের তোলা গুলোর কাজ শুরু করা হয়েছিলো ১৯৯২ সালে। বিল্ডিং টির প্রধান উপরের কাজ শুরু করা হয়েছিলো ১৯৯৩ সালে এবং এর প্রায় তিন বছর পর ১৯৯৬ সালে বিল্ডিং টির কাজ সম্পূর্ণ হয়। তবে এই বিল্ডিং টি জনসাধারণ এর জন্য এতো তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হয় নি। ১৯৯৯ সালে প্রায় তিনবছর পর জনসাধারণ এর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিলো। এর পেছনে অনেক ইতিহাস আছে। যা আপনি এই পোস্ট এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। এই আকাশ চুম্বী বিল্ডিং ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচাইতে উচু বিল্ডিং ছিলো।
মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স বিল্ডিং এর কিছু বিস্তারিতঃ
এই আধুনিক পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স এর মধ্যে এবং এর গঠন সব ধরনের বিল্ডিং এর চাইতে অনেক আলাদা। এই মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস এটি দুইটা বিল্ডিং এর মাধ্যমে তৈরি টুইন টাওয়ার্স । দুইটা বিল্ডিং এই মোট ৮০ তলা করে তৈরি করা হয়েছে। এই দুইটা বিল্ডিং একিরকম ডিজাইনের। এই দুইটা বিল্ডিং এর উচ্চতা ৪৫২ মিটার যা ১৪৮৩ ফুট করে। এই দুইটা বিল্ডিং এর মধ্যে একটি স্কাই ব্রিজের মাধ্যমে দুই বিল্ডিং একত্রে সংযোগ হয়েছে। ৪১ তলা এবং ৪২ তলার মাঝামাঝি এই স্কাই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এই ব্রিজ পর্যটক দের জন্য এক অন্যতম আকর্ষণ। আধুনিক পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স দেখার জন্য অনেক পর্যটক এর ভিড় পরে থাকে।
টুইন টাওয়ার্স এর মধ্যে কি কি আছে?
মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স বিল্ডিং এর মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয় এবং অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি আছে এর মধ্যেঃ
১। অফিস স্পেসঃ
এই টুইন টাওয়ার্স কে তৈরি করা হয়েছে অনেক আধুনিক ভাবে। এর মধ্যে সব চাইতে আধুনিক করে তৈরি করা হয়েছে এই অফিস স্পেস গুলো। কর্মচারী এবং কর্মকর্তা খুব সহজেই কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে পারবে।এর সাথে আছে বিশাল কনফারেন্স হল। যেখানে অফিস এর সকল মিটিং খুব সহজেই করা যায়।
২। স্কাই ব্রিজঃ
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স বিল্ডিং এর সবচাইতে সুন্দর জায়গা হলো। এই স্কাই ব্রিজ টি এখানে আপনি আপনার সবচাইতে ভালো সময় পার করতে পারবেন। এই ব্রিজ টি তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে। নিচে তাকালে আপনি পুরা শহর দেখতে পারবেন। বিল্ডিং এর উপরে আছে পর্যবেক্ষণ ডেক। এখানে ছবি তোলার জন্য অনেক কিছু আছে।
৩। সিটি সেন্টারঃ
কুয়ালালামপুর শহরের সবচাইতে বড় সপিং মল আছে এই বিল্ডিং এর মধ্যে। এখানে আছে কনভেনশন সেন্টার এবং বিল্ডিং এর নিচের বিলাসবহুল কমপ্লেক্স এর মধ্যে আছে বিশাল এঁকোয়ারিয়াম।
৪। গ্যালারিঃ
এই টুইন টাওয়ার্স এর মধ্যে আছে আর্ট গ্যলারি। যেখানে নানা ধরনের শিল্প কর্ম প্রদর্শন করানো হয়।
৫। পার্কঃ
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স বিল্ডিং এর চারপাশে অনেক সুন্দর পার্ক তৈরি করা হয়েছে। যেখানে এক বিশাল লেক আছে, হাটা চলার জন্য সুন্দর রাস্তা আছে, ফোয়ারা এবং খেলার জায়গা। এমন আরো অনেক কিছু এই বিল্ডিং এর নিচে তৈরি করা হয়েছে।
এই সকল কিছু মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার্স বিল্ডিং কে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সবার কাছে তুলে ধরেছে। তবে এই বিল্ডিং এর মধ্যে কোনো হোটেল বা আবাসিক এপার্টমেন্ট নাই। টুইন টাওয়ার্স একটি বাণিজ্যিক কর্মস্থল এর কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে। এই বিল্ডিং ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক বাণিজ্য স্থল। আশা করি এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনার অনেক কিছু জানা হয়ে গেলো। এমন আরো বিল্ডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।