shanghai central tower – লুজিয়াজুই, পুডং, সাংহাই নির্মাণক্রিত একটি সুন্দর ও আসাধারন বিল্ডিং। ডিজাইন করেছেন জেন্সেল তার নকশা করা পুডং এর ৩ টি আসাধারন ভবন এর মধ্যে সাংহাই টাওয়ার সবচেয়ে উচু বিল্ডিং। আরো দুইটি বিল্ডিং এর নাম জিন মাও টাওয়ার এবং সাংহাই ওয়ার্ল্ড। এই বিল্ডিং টির কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে উচ্চতা ৬৩২ মিটার যা ( ২,০৭৩ ফুট ) সাংহাই টাওয়ার এর দুই তলা মাটির নিচে, যার জন্য বিল্ডিং এর অবকাঠামো আরো মজবুত হয়েছে। এবং বিল্ডিং টি ২০১৫ সালে জনসাধারণ এর জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে পৃথিবীর সকল উচু বিল্ডিং এর চাইতে অনেক কম সময়ে তৈরি করা হয়। পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৮ মিনিট এর রাস্তা ম্যাগলেভ ট্রেন এর মাধ্যমে খুব সহজেই যেতে পারবেন। বিল্ডিং টির উপরের তলা গুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের হোটেল অন্যতম হোটেল হলো je hotel Shanghai Tower।
হোটেল টি নিজেদের দাবি করেছে বিশ্বের উচ্চতম হোটেল হিসেবে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সি এন এন। কারন স্বাভাবিক ভাবে এতো উচুতে কোনো হোটেল এটি একটি অস্বাভাবিক বিষয়। শুধু উচ্চতা না এই হোটেল বা টাওয়ার টিতে রয়েছে আপনার উপভোগ, আরাম আয়েশের সকল ধরনের ব্যবস্থা। বিল্ডিং টি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২.৪ বিলিয়ন উস এস ডলার। সাংহাই টাওয়ারে তলা রয়েছে ১২৮ টি। আপনি হয়তো বলতে পারেন ১২৮ তলা অন্য বড় বিল্ডিং এর চাইতে বেশি কিন্তু প্রতিটি তলার উচ্চতা কম হওয়ার কারনে বিল্ডিং টির সর্বচ্চ উচ্চতা কম।
হোটেল টিতে রয়েছে ৩৪ স্যুটসহ মোট ১৬৫ টি রুম। এতে রয়েছে সার্বক্ষণিক ব্যক্তিগত বাটলার সেবা, সুইমিং পুল ম্যাগনোলিয়া ফুলের পাপড়ির মতো আকৃতির বাথটাব ও রেইকি ম্যাসাজ সুবিধাযুক্ত একটি সুদৃশ্য স্পা। নিজের কক্ষে বসে আরাম করে চা খাওয়ার জন্যে রয়েছে চীনা চায়ের সেট।
আপনি যদি হোটেল পর্যবেক্ষণ বা সর্বচ্চ চুড়ায় পর্যটন ডেস্ক এ যেতে চান অবশ্যই আপনাকে টিকেট কাত্তে হবে।
টিকেট এর মূল্য (২৫ ইউ এস ডলার ) যা বাংলা টাকায় প্রায় তিন হাজার টাকা।
হোটেলটিতে চার ধরনের স্যুট আছে। সবচেয়ে বিলাসবহুল স্যুটটির আয়তন ৩৮০ বর্গমিটার এবং এর নাম ‘সাংহাই স্যুট’। এই স্যুটে শয়নকক্ষের পাশাপাশি একটি পার্লার, স্টাডি, রান্নাঘর, ফিজিওথেরাপি নেওয়ার জায়গা এবং শুধুমাত্র পোশাক বদলানোর জন্য একটি আলাদা কক্ষ রয়েছে। ওয়েবসাইটে এই স্যুটের ভাড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে কম দামি রুমগুলোর ভাড়া প্রতি রাতের জন্যে ৫৫৭ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। সাংহাই স্যুটের চেয়ে বেশ খানিকটা কম বিলাসবহুল। জে হোটেল এর মালিক চীনের অন্যতম প্রধান সরকারি হোটেল ও পর্যটন প্রতিষ্ঠান শিন ইন্টারন্যাশনাল। করোনা ভাইরাস মহামারীর কারনে বিশ্বজুরে ভ্রমণ ও পর্যটন এর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও হোটেল টি পেছনে পরে নি। পৃথিবীতে আর অনেক হোটেল আছে তারও তাদের হোটেল কে বিশ্বের অন্যতম হোটেল দাবি করলেও এগিয়ে আছে সাংহাই। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেলের লেভেল সাধারণত সেসব অট্টালিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় যার পুরো টাই জুরে হোটেল বানানো হয়েছে। জে হোটেল শুধুমাত্র সাংহাই টাওয়ারের উপরের অংশ নিয়ে বানানো হয়েছে। বাকি অংশে রয়েছে অন্য অন্য সব সপিং মল, পার্ক, অফিস,আরো অনেক কিছু। ধারনা করা যায় পৃথিবীতে অনেক বিল্ডিং বা ভবন আছে বা হবে কিন্তু সাংহাই টাওয়ার এর মতো এতো বড় হোটেল এই রেকর্ড ভাঙতে হিমসিম খেতে হবে। আর কারন আছে করোনা ভাইরাস এর মধ্যেও কোনো পরিস্থিতি বাধা দিতে পারে নি সাংহাই টাওয়ারকে, যেখানে পুরো পৃথিবীর বড় বড় হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো।